জগন্নাথপুরে পল্লী বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং, জনগণের ভোগান্তি

জগন্নাথপুরে পল্লী বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং, জনগণের ভোগান্তি

হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ)+ স্টাফ রিপোর্টারঃ

জগন্নাথপুরে পল্লী বিদ্যুৎ এর ঘন ঘন লোডশেডিং এর গ্রাহকেরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়া সহ অফিসিয়াল কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার পাশা-পাশি ব্যবসা- বানিজ্যে ধ্বস নেমেছে। এমনকি ফ্রিজে রাখা মাছ-মাংস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাস শেষে বিদুৎ বিল ঠিকই দিগুন হয়ে আসছে। এতে করে জনসাধারণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন  জগন্নাথপুর উপজেলার সর্বত্রই ঘন্টার পর ঘন্টা, দিন ও রাতে প্রয়োজনীয় বেশীর ভাগ সময় পল্লী বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং চলছে। মোবাইল ফোনের মিসড কলের মতো বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করছে। এই আছে আবার নেই, আকাশের বিজলীর মতো বিদ্যুৎ এর ভেলকিবাজি চলছে। দিনের বেলায় অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় অফিসিয়াল কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার পাশা-পাশি উপজেলা সদর জগন্নাথপুর বাজার সহ অত্র উপজেলার সবকটি হাট-বাজারে ব্যবসা-বানিজ্যে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। দিন-রাত মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় সর্বসাকুল্যে ৬/৭ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে।প্রতিনিয়ত সন্ধ্যালগ্ন থেকে রাত ৮/৯ ঘটিকা পর্যন্ত বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং চলায় স্কুল -কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। এমনকি ফ্রিজে রাখা ঔষধ এর মান বিনষ্ট হওয়ার পাশাপাশি  রাখা মাছ-মাংস নষ্ট হচ্ছে। অপ্রিয় হলেও বাস্তবতা যে মাস শেষে  বিদ্যুৎ বিল তুলনা মুলক ভাবে দিগুণ আসছে। এতে করে  প্রায় সময়ই বিল রাইডার ও গ্রাহকদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আলম, নজরুল , অমর, খালিক, সুমেন ও আনহার মিয়া সহ একাধিক ব্যক্তি তাদের অভিপ্রায় ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পল্লী বিদ্যুৎ এর  ঘন ঘন লোডশেডিং চলছে। ২৪ ঘন্টায় গড়ে ৫/৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। যার ফলে অফিসিয়াল কার্যক্রম ও শিক্ষার্থীদের লেখা- পড়া বিঘ্নিত হওয়ার পাশা-পাশি ব্যবসা বানিজ্যে ধ্বস নেমেছে। ফ্রিজে রাখা ঔষধ সামগ্রী ও মাছ-মাংস নষ্ট হচ্ছে।পল্লী বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং এর ফলে মোমবাতি, চার্জার লাইট ও জেনারেটর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। কষ্টের বিষয় হলো বিদ্যুৎ না থাকলে কি হলো বিদ্যুৎ বিল কম আসা দুরে থাক। মাস শেষে ঠিকই  বিদ্যুৎ বিল দিগুণ হয়ে আসছে। জনস্বার্থে  এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন